The wild frontier of animal welfare Earth Day 2021: Restore Our Earth Soil degradation: the problems and how to fix them How We Can Put a Halt to Biodiversity Loss Rhino numbers recover, but new threats emerge Govt afforests over 25,000 hectares of land in nearly three years How to stop discarded face masks from polluting the planet How plastics contribute to climate change Unplanned industrialisation killing the Sutang river ‘Covid-19 medical waste disposal neglected’

কীর্তনখোলায় পলিথিন-প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য, হুমকির মুখে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য


ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২০: পলিথিন-প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য অবাধে ফেলা হচ্ছে বরিশালের কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে। এতে পানিদূষণের পাশাপাশি নদীর পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে আগেই। এখন নতুন বিপদ শুরু হয়েছে কীর্তনখোলা খনন করতে গিয়ে। তলদেশে পলিথিনের স্তর এতটাই পুরু হয়েছে যে খননকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।

৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কীর্তনখোলা দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। পাশাপাশি এই অঞ্চলের কৃষিকাজ ও মানুষের জীবন-জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নদীটির বড় অংশ বরিশাল নগরের আশপাশে।

এলাকাবাসী ও কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চীন, ভারত ও নেপালে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এসব বর্জ্য পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর বড় অংশ সাগরে চলে যায়। কিছু অংশ নদ-নদীতে থেকে যায়। এর বাইরে দেশের ভেতরে উৎপাদিত বর্জ্যও নদ-নদীতে মিশে যাচ্ছে। প্রতিদিন পলিথিন, প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য কীর্তনখোলা নদীতে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি বরিশাল নগরের বর্জ্যযুক্ত পানি নগরের বিভিন্ন খাল হয়ে কীর্তনখোলা নদীতে গিয়ে পড়ছে।

নদীর তীরে বা চরে নানা মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য, যা জোয়ারের সময় পানিতে মিশে যাচ্ছে। আবার দেশের অন্যতম নদীবন্দর বরিশালে অবস্থিত। নদীবন্দর দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার পথে প্রতিদিন ছোট-বড় অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। এসব লঞ্চ থেকে বর্জ্য সরাসরি ফেলা হয় নদীতে। বরিশাল নদীবন্দর এলাকা ঘিরে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। বাড়ছে ভাসমান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। ফলে পন্টুনসংলগ্ন এলাকায় নদীতে দূষণ সবচেয়ে বেশি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল লঞ্চঘাট, নগরের ভাটারখাল, ডিসি ঘাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর চরে বিপুল পরিমাণে পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যের স্তূপ। জোয়ারের সময় সহজেই এসব বর্জ্য নদীর পানিতে চলে যায়। নৌবন্দরে আসা যাত্রী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পলিথিন ও পানির বোতল, প্লাস্টিকের সামগ্রী সরাসরি নদীতে ফেলছেন। এ ছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ঘাটে নোঙরের পর আবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে ফেলা হচ্ছে নদীতে।

বর্জ্য আটকে যাওয়ায় মেশিন বন্ধ করে বারবার পরিষ্কার করতে হচ্ছে। এতে সময় ও ব্যয় দুটিই বাড়ছে।
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া , তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, বিআইডব্লিউটিএ

ঢাকার সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথগুলোর অন্তত ৩০টি স্থানে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা–সংকটের আশঙ্কায় এসব স্থানে খননের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গত ১৫ অক্টোবর থেকে কীর্তনখোলায় খননযন্ত্র বসিয়ে নদী খনন করা হচ্ছে। এই কাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, একটি খননযন্ত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০–১২ ঘণ্টা কার্যক্রম চালাতে সক্ষম। বরিশাল নদীবন্দর এলাকায় আগে তাঁরা সর্বোচ্চ ১১ ঘণ্টা একনাগাড়ে খনন করতে পারতেন। কিন্তু এখন খনন করতে গিয়ে পাঁচ–ছয় ঘণ্টার বেশি কাজ চালানো সম্ভব হয় না। নদীবন্দরের পন্টুনসংলগ্ন এলাকায় খনন করতে গিয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ড্রেজারের কাটারে পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য আটকে যাওয়ায় মেশিন বন্ধ করে বারবার কাটার পরিষ্কার করতে হচ্ছে। এতে খননের সময় ও ব্যয় দুটিই বাড়ছে। সূত্র: প্রথম আলো

Posted by on Nov 17 2020. Filed under News at Now, No Plastic. You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0. You can leave a response or trackback to this entry

Leave a Reply

Hellod

sd544

Polls

Which Country is most Beautifull?

View Results

Loading ... Loading ...