আট ধরনের পাকিস্তানি রঙ ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি ও বিতরণ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসটিআই
জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর পদার্থযুক্ত আট ধরনের পাকিস্তানি রঙ ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি ও বিতরণ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
সোমবার (২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআই'এর পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রঙ ফর্সকারী ১৩টি ক্রিমের মধ্যে ছয়টি স্কিন ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) ও দু'টি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গিয়েছে। বিএসটিআই’এর নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্যান্ডের পণ্য কিনে পরীক্ষা করা হয়।
বিএসটিআই জানায়, নির্দেশ মানা না হলে আমদানিকারক, সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিএসটিআই’এর অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার হতে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএসটিআই’র লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে ভোক্তাদের পণ্য কেনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
মাত্রতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব ক্রিমের মধ্যে রয়েছে-পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গৌরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, পাকিস্তানের এস. জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনি ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, একই দেশের কিউ. সি ইন্টারন্যাশনাল'এর নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, পাকিস্তানের গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, পাকিস্তানের পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, পাকিস্তানের নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম।
বিস্তারিত জানতে
।