ই-বর্জ্য : পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে বাংলাদেশ
দেশের পরিবেশ দুষনে নতুন অনুসঙ্গ হিসেবে যোগ হয়েছে ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পণ্যের বর্জ্য। যাকে এক কথায় বলা হচ্ছে ই-বর্জ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক অথবা যুগের বাস্তবতার কারনেই হোক শহর-গ্রাম সর্বত্রই প্রতিনিয়ত ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পন্যের প্রতি বাড়ছে মানুষের নির্ভরতা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ই-ওয়েস্টের পরিমানও। কিন্তু আজও দেশে গড়ে ওঠেনি মানব স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর এসব বর্জ্যরে সঠিক কালেকশন সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ফলে পরিবেশ দুষনের চরম বিপর্যয়ের মুখে আজ বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাড়ছে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিও। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা গবেষণা তথ্যের বরাত দিয়ে এমনটি জানাচ্ছেন পরিবেশবিদ এবং পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা।
তাদের অভিযোগ, সারা বিশ্বে জুড়ে ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনায় যখন নতুন এক আন্দোলন শুরু হয়েছে তখন বাংলাদেশ সরকার বলছে, ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনায় পৃথক কোন নিয়ম-নীতির দরকার নেই। অথচ, বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ই-ওয়েস্টের ম্যানেজমেন্ট কৌশল, নিয়ম-নীতিতে এক করে দেখলে চলবে না। বরং তাদের দাবি, ই-ওয়েস্টে ব্যবস্থাপনা প্রকিয়ায় ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পন্যের উৎপাদক, আমদানিকারক, বিক্রেতা এবং ক্রেতার পৃথক পৃথক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং এর জন্যেই দরকার পৃথক নিয়ম-নীতি এবং নতুন কর্মকৌশল।
জানা গেছে, সেলক্ষেই পরিবেশবিদ এবং পরিবেশ সংশ্লিষ্টদের ধারাবাহিক এ্যাডভোকেসির অংশ হিসেবে ২০১২ সালে ‘ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড রেগুলেশন’ শীর্ষক একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে পাঠায় পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু দুই বছর ঝুলিয়ে রেখে ২০১৪ সালে প্রস্তাবনাটি মন্ত্রনালয় থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনায় আলাদা কোন নিয়ম-নীতির দরকার নেই।
এদিকে ২০১৪ সালে ই-ওয়েস্ট এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে Magnitude of the Flow of E-waste in Bangladesh শীর্ষক একটি গবেষণা পরিচালনা করে বেসরকারি সংস্থা এনভাইরোনমেন্ট এন্ড স্যোসাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। সংস্থাটির ওই গবেষণা প্রতিবেদনের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে দেশে বছরে ই-ওয়েস্ট তৈরি হচ্ছে প্রায় তিন মিলিয়ন মেট্রিকটন। এসব ওয়েস্টের মধ্যে রয়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার, কম্পিউটারের মনিটর, যন্ত্রাংশ, ল্যাপটপ, ল্যাপটপের ব্যাটারি, চার্যার কেবল, প্রিন্টার, প্রিন্টারের টোনার, মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোনের ব্যটারি, চার্জার, ট্যাব, এনার্জি সেভিংস বাল্ব, টিউব লাইটসহ সবধরনের ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পন্য এবং পন্যের নানা যন্ত্রংশ।
বিগত প্রায় দেড় দশক ধরে দেশ জুড়ে এসব ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পন্যের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে এসব পন্যের বর্জ্যও। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে এ বর্জ্যরে পরিমান বাড়ছে প্রায় দ্বিগুন হারে। ইএসডিও’র হিসাবে মতে ২০১০ সাল নাগাদ দেশে বছরে ই-ওয়েস্টের পরিমান ছিল প্রায় এক মিলিয়ন মেট্রিকটন। ২০১২ সাল নাদাগ তার পরিমান ছিল ২.০৭ মিলিয়ন মেট্রিকটন এবং ২০১৪ সাল নাগাদ এসব বর্জ্যরে পরিমান এসে দাঁড়িয়েছে তিন মিলিয়ন মেট্রিকটনে।
এছাড়াও প্রতিবছর বৈধ এবং অবৈধ পথে প্রায় সাত মিলিয়ন মেট্রিকটন ই-ওয়েস্ট বিশ্বের উন্নতসব দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে। সবচেয়ে বেশি পরিমানে ওভারসীজ ই-ওয়েস্ট ঢুকছে শীপ ব্রেকিং সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে। তাতে দেশীয় ও বিদেশী সোর্স মিলিয়ে বছরে ই-ওয়েস্টের পমিান দাঁড়ায় ১০ মিলিয়ন মেট্রিকটন।
কোথায় যাচ্ছে বিশাল পরিমান ক্ষতিকর এ বর্জ্য? অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক কোন মেকানিজম গড়ে না ওঠায় দেশিয় সোর্স থেকে আসা বর্জ্য ফেরিওয়ালা, টোকাই আর ভাঙ্গারি বিক্রেতার হাত ধরে যাচ্ছে ট্রেডিশনাল রিসাইকেল প্রক্রিয়ায়। আর বিদেশী সোর্স থেকে আসা বর্জ্যও যাচ্ছে ওই একই পথে। যেই প্রক্রিয়াকে শুধু পরিবেশের জন্যেই নয় মানব স্বাস্থ্যসহ প্রাণ বৈচিত্রের জন্যেও ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইকোলেজিস্ট, সাংবাদিক এবং ইএসডিও’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ট্রেডিশনাল রিসাইকেলিং প্রক্রিয়ায় সাধারনত প্লাস্টিক থেকে সেপারেট করা হয় এলুমিনিয়াম, তামা, পিতল, দস্তা ও স্টিলসহ নানা ধরনের ধাতব উপাদানকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পন্যের বর্জ্যরে মধ্যে থাকা পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর হেভিমেটাল কোথায় যাচ্ছে?
তার মতে ম্যানুয়াল্লি এ সেপারেট প্রক্রিয়ায় কোন ভাবেই Mercury, Lead, Cadmium, Chromium, Barium, Selenium, Beryllium- এর মতো ক্ষতিকরসব উপাদান সেপারেট করা সম্ভব নয়। আর যারা রিসাইকেল প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের এসব উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ধারনাও নেই। ফলে ক্ষতিকর সব গ্যাস বাতাসে মিশে যেমন শ্বাস প্রশাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকছে। তেমনি অন্যান্য উপাদান গিয়ে মিশছে মাটিতে এবং পানিতে। যা সর্বপরি ফুড চেইনের মাধ্যমে ঢুকছে মানব দেহে।
এদিকে ই-ওয়েস্টের ট্রেডিশনাল এ ব্যবস্থাপনায় সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। বিশেষ করে যেসব শিশু রিসাইকেল প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে। ইএসডিও’র গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ই-ওয়েস্ট রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় প্রায় ৫০ হাজার শিশু জড়িত রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুই জড়িত রয়েছে শীপ ব্রেকিং সিস্টেমের সঙ্গে।
গবেষনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রিসাইকেল প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শিশুদের মধ্যে থেকে বছরে প্রায় ১৫ শতাংশ শিশু মারা যাচ্ছে নানা জটিল রোগে। এছাড়া প্রায় ৮৩ শতাংশ শিশু আক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী নানা জটিল রোগে।
জটিল সব রোগের মধ্যে রয়েছে ব্রেইন, কিডনি, ফুসফুস ড্যামেজ, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক বিষন্নতা, নার্ভ সিস্টেমের দুর্বলতা, শ্রবন শক্তি হ্রাস এবং পঙ্গুত্ব। বলা হচ্ছে শুধু মারকারির প্রভাবে মানুষের কিডনি এবং মস্তিস্ক ড্যামেজ, স্নায়ুবিক দুর্বলতাসহ কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এছাড়া লেদ এর প্রভাবে Learning disabilities, Mental retardation, Behavioral problems, Hearing impairment সহ শিশু ও বয়স্ক উভয়ের নার্ভাস সিস্টেম এ্যাটাক হতে পারে। ক্যাডমিয়ামের প্রভাবে kidney and liver disease; Lungs, Nerve and brain damage; bones fragility; high blood pressure সহ ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। একই ভাবে ক্রোমিয়ামের প্রভাবে colds, nose bleeding, ulcer and damage to sinuses সহ ফুসফুসে ক্যানসার এবং asthmatic bronchitis এর আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে।
এছাড়া Barium এর প্রভাবে Gastrointestinal disorders and muscular weakness; Selenium এর প্রভাবে Selenosis, Hair loss, neurological problems; Nickel এর প্রভাবে ফুসফুসে ক্যানসার, সাইনাসাইটিস এবং জিঙ্ক এর প্রভাবে ত্বক ও ফুসফুসে ক্ষয় রোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ই-বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট টুলস: এক্সটেনডেড প্রোডিউসার রেসপনসিবিলিটি
এদিকে জনস্বাস্থ্যের এ হুমকির হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশ জুড়ে ই-ওয়েস্টের সঠিক কালেকশন সিস্টেম এবং ম্যানজেমেন্ট সিস্টেম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ই-ওয়েস্টের ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়ায় ক্রেতা, বিক্রেতা এবং উৎপদকের সমন্বিত উগ্যোগ থাকতে হবে বলেও মনে করছেন তারা। বিশেষ করে এক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট টুলস হিসেবে এক্সটেনডেড প্রোডিউসার রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) সিস্টেম প্রয়োগরে সম্ভাব্যতার কথা তুলে ধরেন ড. শাহরিয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বিষয়টি এমন হওয়া উচিত নয় যে, ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পন্যের উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদকের দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল। একই ভাবে পন্যগুলো আমদানির সঙ্গে সঙ্গে আমদানি কারকের দায়িত্ব এবং বিক্রির মাধ্যমে বিক্রেতার দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে।
তার মতে, ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক পন্যের বর্জ্যরে সঠিক কালেকশন সিস্টেমে এবং ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে উৎপাদক, আমদানিকারক এবং বিক্রেতারও দায়িত্ব থাকতে হবে। বিশেষ করে তাদেরকে পুরনো পন্য ফেরত নিতে হবে এবং একই সঙ্গে পুরনো পন্য ফেরত দিলে ক্রেতাকে নতুন পন্যে মূল্যে ছাড়সহ ইনটেনসিভ সুবিধা চালু করা যেতে পারে।
আর সেইভ দ্যা এনভায়োরেনমেন্ট মুভমেন্টের নির্বাহী সাধারন সম্পাদক আব্দুস সোবহান সেন্ট্রাল রিসাইকেলিং প্লান্ট স্থাপনের কথা বলেন। একই সঙ্গে অবৈধ পথে বৈদেশিক সোর্স থেকে ই-ওয়েস্ট আসা বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন। এক্ষেত্রে তিনি জাতিসংঘের Basel Convention অনুযায়ী যে কোন হ্যাজারডাস পন্য আমদানি রপ্তানির নিষিদ্ধের কথাও উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, ইউনাইটেড ন্যাশনস এনভাইরোনমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) হিসাব মতে বর্তমানে সারা বিশ্বে ই-ওয়েস্ট তৈরি হচ্ছে ৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এদিকে ‘মার্কেটস এন্ড মার্কেট’ শির্ষক অপর এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৬ সাল নাগাদ বিশ্বে বছরে ই-ওয়েস্টের পরিমান দাঁড়াবে প্রায় ৯৩.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে। ফলে এ হারে চলতে থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ই-ওয়েস্টের অন্যতম ভাগারে পরিনত হতে যাচ্ছে।
মোবাইল ফোন
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশ জুড়ে ই-ওয়েস্টের বড় একটি উৎস মোবাইল ফোন। হিসাব অনুযায়ী দেশে মোট মোবাইল ফোন ইউজারের সংখ্যা নয় কোটি। বিশাল সংখ্যক এই ইউজার প্রতি মাসে বাজার থেকে ব্রান্ড এবং নন ব্রান্ড ফোন সেট কিনছে ১৮ লাখ পিস থেকে ২০ লাখ পিস। মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) হিসাবে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। সংগঠনটির হিসেবে আরো বলা হচ্ছে ২০১৪ সালে বাজারে মোট ফোন সেট বিক্রি হয়েছে দুই কোটি ১৫ লাখ পিস। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে দুই কোটি ৪০ লাখ ফোন সেট বিক্রি হবে এমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের মহাসচিব রেজওয়ানুল হক।
মোবাইল ফোন ইউজারদের ৯০ শতাংশই নন ব্রান্ড ফোন ব্যাবহার করায় এ খাত থেকে সবচেয়ে দ্রুত হারে ই-ওয়েস্ট সৃস্টি হচ্ছে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিনামূল্যে সরকারের এনার্জি সেভিংস লাইট বিতরণ এবং ই-বর্জ্য
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ি আনতে বর্তমান সরকার তার গত মেয়াদে সারা দেশে আট কোটি এনার্জি সেভিং বাল্ব বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেন। এর পর থেকে বিভিন্ন ব্রান্ড এবং নন ব্রান্ডের নানা নামের এনার্জি সেভিং বাল্বে বাজার সয়লাব। ড. শাহরিয়ার হোসেন জানান, ২৪ ওয়াটের একটি এনার্জি সেভিং বাল্বে শুধু মার্কারিই থাকছে ২৫ মিলি গ্রাম থেকে ৩০ মিলি গ্রাম। সব হিসাব বাদ দিয়ে শুধু সরকারের দেয়া আট কোটি বাল্বে মার্কারির পরিমান ছিল দুই হাজার কেজি। দেশে সঠিক কোন কালেকশন সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম না থাকায় যা পরিবেশের সঙ্গে মিশেই গেছে।
শফিক রহমান, প্রোবনিউজ