করোনা ভাইরাস – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারী এবং পাবলিকেরা হাত ধোয়ার সাবান পাবে কই?
করোনা ভাইরাস (কোবিড – ১৯) বর্তমানে সারা বিশ্বের এক মহা আতংকের নাম। চীনের হুবি প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে উৎপত্তি এই মরণ ব্যাধীর ভাইরাসটি এ লেখা লেখার দিন (তারিখ:০৬/০৩/২০২০) অবধি সারা বিশ্বের ৯০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতিদিনই এর আগ্রাসনে দেশ হতে দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। আজ পর্যন্ত এ ভাইরাসে ৯৭,৮৮৬ জন লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩,৩৪৮ জন লোক মারা গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে এ ঘাতক ভাইরাসকে মহামারী হিসাবে ঘোষনা করেছে। এ মরণ ঘাতক ভাইরাস হতে নিজকে এবং নিজস্ব পরিবেশকে রক্ষায় বেশ কিছু সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস (কোবিড-১৯) সংক্রামন হতে রক্ষায় প্রথম প্রতিরোধ মূলক সর্তকতাটি হল : সাবান বা অ্যালকোহল ব্যবহার করে কিছুক্ষণ পর পর হাত ধোয়া (Hand wash Frequently with Soap or Alcohol)।
মানবদেহে রোগ জীবানু প্রবেশের পথ ৪(চার) টি।
১। মুখ গহবরের মাধ্যমে – বেশীর ভাগ রোগ জীবানু, হেভী মেটাল খাদ্য গ্রহণ ও শ্বাস প্রশ্বাসের সময় এ পথে মানবদেহে প্রবেশ করে।
২। নাসারন্ধ্র এর মাধ্যমে :- শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে মানব দেহে প্রবেশ করে।
৩। লোপ কুপ দিয়ে : আপক্ষাকৃত কম।
৪। ইনজেক্শন এর মাধ্যমে : – ইনজেকশন সিরিঞ্জ/ সুই এর মাধ্যমে।
রোগ জীবানু/ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশের পথ সমূহের মধ্যে প্রথম ২টি পথই অর্থাৎ মুখগহবর ও নাসিকাই প্রধান। আর এ জন্য খাদ্য দ্রব্য গ্রহনে যেমন সর্তকর্তা থাকতে হবে, তেমনি খাদ্য দ্রব্যের সাথে ও নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সময় যাতে ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কিছুক্ষন পর পর হাত ধোয়া ও মাস্কের মাধ্যমে মুখ গহবর ও নাসারন্ধ্র সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। তবে আমরা সর্বকাজে ও খাওয়া দাওয়ায় সময় এবং অভ্যাসগত ভাবে কিছুক্ষণ পরপরই মুখে, নাকে হাত ব্যবহার করে থাকি। তাই হাত যাতে জীবানু (ভাইরাস) মুক্ত থাকে তার জন্য Frequently সাবান বা অ্যালকোহল ব্যবহারের মাধ্যমে ভাল করে পানি দ্বারা হাত ধোয়ার সর্তকতাটিই প্রথম।