চেতনানাশক গ্যাসেও বাড়ে বিশ্ব ঊষ্ণায়ন
চিকিৎসা বিজ্ঞানে অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে রোগীদেরকে অচেতন করতে অ্যানেসথেটিক (চেতনানাশক) গ্যাসের ভূমিকা অসামান্য হলেও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের জন্য এই গ্যাসগুলো বেশ ক্ষতিকর। সুইজারল্যান্ডের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকরা বলছেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের মত অ্যানেসথেটিক গ্যাসগুলোও বায়ুমণ্ডলে সূর্যের অধিক তাপ ধরে রাখতে (গ্রিনহাউজ এফেক্ট) ভূমিকা রাখে।
বরং কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুলনায় চেতনানাশক গ্যাসগুলো বায়ুমন্ডলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেক বেশিমাত্রায় সক্ষম।
প্রধান গবেষক সুইজারল্যান্ডের মার্টিন ভলমার বলেন, “এক কিলোগ্রাম ডেসফ্লুরেনের (চেতনানাশক গ্যাস) অতিবেগুনী রশ্মি ধরে রাখার ক্ষমতা প্রায় ২,৫০০ কিলোগ্রাম কার্বন ডাইঅক্সাইডের অতিবেগুনী রশ্মি ধরে রাখার ক্ষমতার সমান।”
“যদি কিলোগ্রামের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হয় তবে ডেসফ্লুরেন গ্যাসের বায়ুমণ্ডলের ক্ষতি করার ক্ষমতা কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুলনায় অনেক গুণ বেশি।”
চেতনানাশক গ্যাস হিসেবে ব্যবহার হয় এমন গ্যাসগুলোর মধ্যে ডেসফ্লুরান, ইসোফ্লুরান, সেভোফ্লুরান ও হালোথান নিয়ে গবেষণা করেছেন গবেষকরা।
কিন্তু চেতনানাশক হিসেবে অধিক ব্যবহার হওয়া নাইট্রাস অক্সাইড নিয়ে তারা কাজ করেননি। কারণ, চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহারের কারণে এটি বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণে ছড়ায় তার তুলনায় অন্যান্য কারণে এটি ছড়ায় বেশি।
এ গবেষণাপত্রের পর্যালোচনায় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ জডি সের্ম্যান বলেন, বেশিমাত্রায় চেতনানাশক গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে এবং গবেষকদের এদিকটিতে আমল না দেয়া উচিত হবে না।
“ডেসফ্লুরেনের এমন কোনো বিশেষত্ব নেই যা আমরা অন্য ওষুধ ব্যবহার করে করতে পারব না”, বলেন সের্ম্যান। ডেসফ্লুরেন ব্যবহার না করেও জীবন যাপনে কোন অসুবিধা হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
Collected: bdnews24.com