জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মরছে পেঙ্গুইন
জলবায়ু পরিবর্তনে সরাসরি ক্ষতির শিকার হচ্ছে আর্জেন্টিনার পুন্টা টোম্বো উপদ্বীপের পেঙ্গুইন ছানারা।
বিবিসি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, অসহনীয় তাপমাত্রা ও অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ওই অঞ্চলে জন্ম নেয়া পেঙ্গুইন ছানারা অনবরত মৃত্যুমুখে পড়ছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং তীব্র তাপমাত্রার কারণে অল্প বয়সী পেঙ্গুইনরা টিকতে পারছে না।
মেগালানিক পেঙ্গুইনদের সবচেয়ে বৃহৎ বসতি টোম্বোয় প্রায় ২৭ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালান হয়। ‘প্লোস ওয়ান’ সাময়িকী গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রথম ছাপে।
প্রতিবছর ওই অঞ্চলে দুই লাখ পেঙ্গুইন বাসা বাঁধে। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তারা সেখানে ছানা ফুটায়। তবে বর্তমানে সেখানে জন্ম নেয়া পেঙ্গুইনরা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে।
বাচ্চা পেঙ্গুইনগুলো এমন একটি সময় পার করছে যখন তারা বাবা-মা’র আশ্রয়ে থাকতে পারে না আবার রোদ/বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো পর্যাপ্ত পালকও শরীরে গজায় না।
আর একারণেই ওই সময়টিতে তারা অতিবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃষ্টির সময় বাবা-মা’কে কাছে না পেলে পেঙ্গুইন ছানারা মারা পড়ে বেশি।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, টোম্বো অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন পেঙ্গুইনদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পেঙ্গুইনদের মৃত্যুর হার অন্তত শতকরা ৭ ভাগ বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গবেষক দলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন’ এর অধ্যাপক ডি বোর্সমা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি ও বেশি তাপমাত্রায় গত পঞ্চাশ বছরে পেঙ্গুইন মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে।
গত দুই বছরে ৪৩ থেকে ৫০ শতাংশ পেঙ্গুইনের মৃত্যু হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।
১৯৮৩ সালের তুলনায় ২০১০ সালের দিকে ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে পেঙ্গুইনের ছানা ফুটানোর জন্য নিরাপদ স্থানগুলোতে এবং ছানা জন্মানোর পরবর্তী ২৫ দিনের মধ্যে ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে।
টোম্বোর কাছের সাগরে মাছের বিচরণ হ্রাস পাওয়াও প্রজননে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে বলে বিশ্বাস করছেন গবেষকরা।
Collected: bdnews24.com