The wild frontier of animal welfare Earth Day 2021: Restore Our Earth Soil degradation: the problems and how to fix them How We Can Put a Halt to Biodiversity Loss Rhino numbers recover, but new threats emerge Govt afforests over 25,000 hectares of land in nearly three years How to stop discarded face masks from polluting the planet How plastics contribute to climate change Unplanned industrialisation killing the Sutang river ‘Covid-19 medical waste disposal neglected’

ঢাকায় প্লাস্টিক দূষণ ৪ নদীতে ৩০ হাজার টন প্লাস্টিক


ঢাকা, ১৬ নভেম্বর, ২০২০: ওয়েস্ট কনসার্ন-এর জরিপের তথ্য। মানুষের ব্যবহার করা মাস্ক ও গ্লাভসের ৯২ শতাংশ খাল-বিল-নালা হয়ে নদীতে পড়ছে।

প্লাস্টিক ও পয়োবর্জ্য ফেলায় বুড়িগঙ্গার পানি এমনিতেই দূষিত। এর মধ্যে প্রতিদিন ধোয়া হচ্ছে নোংরা পলিথিন। এতে আরও দূষিত হচ্ছে নদী। সম্প্রতি কামরাঙ্গীরচর এলাকায়

প্লাস্টিক ও পয়োবর্জ্য ফেলায় বুড়িগঙ্গার পানি এমনিতেই দূষিত। এর মধ্যে প্রতিদিন ধোয়া হচ্ছে নোংরা পলিথিন। এতে আরও দূষিত হচ্ছে নদী। সম্প্রতি কামরাঙ্গীরচর এলাকায়ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

শিল্পকারখানা আর শহরের পয়োনিষ্কাশনের সব বর্জ্য নিয়ে ফেলা হচ্ছে নদীতে। বুড়িগঙ্গা–কর্ণফুলীর মতো একসময়ের টলটলে পানির নদীগুলো এ কারণে এখন মারাত্মক দূষণের শিকার। দেশের অন্য নদীগুলোরও দূষণের চিত্র প্রায় একই। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা এর চেয়েও ভয়াবহ বিপদের কথা উঠে এসেছে। আর তা হচ্ছে প্লাস্টিকের দূষণ। শুধু রাজধানীর চারপাশের চারটি নদীতে ৩০ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পাওয়া গেছে। এর অর্ধেকই রয়েছে বুড়িগঙ্গায়।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বেসরকারি সংস্থা ওয়েস্ট কনসার্ন–এর এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে ২০১৮ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইউএনইপির হিসাবে বুড়িগঙ্গা বিশ্বের অন্যতম দূষিত নদীর তালিকায় নাম লিখিয়েছিল। আর ২০২০ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যানুসারে, প্লাস্টিক দূষণের দিক থেকে গঙ্গা, পদ্মা, যমুনা যৌথভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত অববাহিকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।

এ ব্যাপারে ওয়েস্ট কনসার্নের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদ সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর মতো দেশের অন্য বড় শহরের নদীগুলোয়ও প্লাস্টিকের দূষণ তীব্র হয়েছে। আমরা ওই চার নদীর জরিপ করতে গিয়ে দেখেছি, সেখানে প্লাস্টিকসহ অন্য ময়লা ফেলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এই নদীগুলোকে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে।’

করোনাকালে প্লাস্টিক দূষণ বাড়ছে

করোনাভাইরাসের মহামারির এ সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের বায়ুও আগের চেয়ে নির্মল হয়েছে। কার্বন নিঃসরণ ৪ শতাংশ কমেছে। প্রকৃতিতেও ফিরেছে নানা বৈচিত্র্য। কিন্তু এর মধ্যেও হতাশার চিত্র নিয়ে এসেছে নদীতে প্লাস্টিক দূষণ। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মানুষের ব্যবহার করা মাস্ক ও গ্লাভসের ৯২ শতাংশ খাল–বিল–নালা হয়ে নদীতে পড়ছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, সামগ্রিকভাবে প্লাস্টিক দূষণের দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা, পদ্মা ও যমুনা নদী বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিলের গত আগস্টের হিসাবে, বিশ্বে গত এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে ১২ হাজার ৯০০ কোটি মাস্ক ও ৬ হাজার ৬০০ গ্লাভস নদী হয়ে সাগরে পড়ছে। এর আগে বিশ্বে বছরে ৮০ কোটি টন প্লাস্টিক নদী হয়ে সাগরে জমা হতো, যা বছরে ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখি ও ১ লাখ মাছের মৃত্যু ডেকে আনে।

বঙ্গোপসাগরে ৩০০ ধরনের প্লাস্টিক

পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে করা ‘উৎস থেকে সাগরে’ শীর্ষক চলমান এক গবেষণায় আরও ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবিষয়ক নারী বিজ্ঞানীদের নিয়ে গড়ে ওঠা ওই দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পদ্মা থেকে ৩০০ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। কোমল পানীয়র বোতল থেকে শুরু করে থালা, প্রসাধনসামগ্রীর মোড়ক এবং নিত্যব্যবহার্য থালা ও জগ—সবই ছিল ওই তালিকায়। ব্যবহার করার পর তা বিভিন্ন জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তা নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে। গবেষণাটি কয়েকটি ধাপে করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত বছর দুটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।

অধিক জনসংখ্যা আর অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশের মানুষ প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি করে। ফলে একই সঙ্গে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে সস্তা পরিবেশবান্ধব পণ্য উদ্ভাবন করতে হবে।

গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধূরী, সহকারী অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তা সংগ্রহ করে নিরাপদ স্থানে ফেলতে হবে। যেসব দেশ প্লাস্টিক তৈরি করছে, তাদেরও এই দূষণের দায় নিতে হবে। ফলে সব মিলিয়ে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। আর পলিথিনের কারখানা ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযানও চালাচ্ছি।’

গত জুনে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি ‘বিশ্বের প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিস্থিতি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, প্রতিদিন প্রায় ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ছে। পরিমাণের দিক থেকে এটি বিশ্বে পঞ্চম। এই বর্জ্যের উৎস গঙ্গা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার দেশ চীন, ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা হয়ে এগুলো সাগরে যায়।

বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডিও) ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জলে-স্থলে বর্তমানে ৬৫ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে। প্রতিদিন এর সঙ্গে ৩ হাজার টন করে যোগ হচ্ছে। সংস্থাটি দেশের পরিবেশের জন্য অন্যতম প্রধান হুমকি হিসেবে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগকে চিহ্নিত করেছে। তারা বলছে, দেশে যেখানে জৈব বর্জ্য বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ, সেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য বৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ শতাংশ। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক জেনেও দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করছে।

জানতে চাইলে ‘উৎস থেকে সাগরে’ শীর্ষক গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, অধিক জনসংখ্যা আর অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশের মানুষ প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি করে। ফলে একই সঙ্গে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে সস্তা পরিবেশবান্ধব পণ্য উদ্ভাবন করতে হবে। যাঁরা প্লাস্টিকের ব্যবহার করছেন, তাঁদের সচেতন করতে হবে। যাতে তাঁরা যত্রতত্র প্লাস্টিকসামগ্রী না ফেলে।

বিস্তারিত:

.

Posted by on Nov 16 2020. Filed under News at Now, No Plastic, No Toxic, Water & Wetland. You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0. You can leave a response or trackback to this entry

Leave a Reply

Hellod

sd544

Polls

Which Country is most Beautifull?

View Results

Loading ... Loading ...