নিষিদ্ধ পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি করছে অ্যামাজন এবং ই-বে
আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও পারদযুক্ত (যা একটি ভারী বস্তু এবং বিপজ্জনক নিউরোটক্সিন) ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম, এখনও বিভিন্ন দোকান ও অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। পারদ দূষণ রোধকারীর কাজে নিয়োজিত এনজিও জোটের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় এটি প্রকাশিত হয়েছে। ১২ই ডিসেম্বর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ১২টি দেশের ১৫৮টি পণ্যের মধ্যে ৯৫টি ক্রিমে নির্ধারিত সীমার ১ পিপিএম এর চেয়ে বেশি এবং প্রায় ৪০ থেকে ১,৩০,০০০ পিপিএম পর্যন্ত পারদের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই সব পণ্যের দুই-তৃতীয়াংশ (৯৫টির মধ্যে ৬৫টি) অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। আর তা বিপণন করছে অ্যামাজন, ই-বে, ইরফড়ৎনুঁ, খধুধফধ, দারাজ, ফ্লিপকার্ট এবং জুপিয়া। বাংলাদেশের শীর্ষ অনলাইন শপিং সাইট ‘দারাজ’ নিষিদ্ধ ও উচ্চমাত্রার পারদযুক্ত (৯৩৪.৩৩-১,১৬,৬০০ পিপিএম পারদ) ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। কিছু ক্রিমে নির্দিষ্ট সীমার কয়েক হাজার গুণ বেশি পারদের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিষ বাণিজ্য বন্ধের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিক এনজিও জোট আহবান জানিয়েছে।