পর্যটন বছরেই অন্য সুন্দরবন দেখবেন পর্যটকরা
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল সুন্দরবন। ২০১৬ সালকে পর্যটন বছর ঘোষণা করায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও চিত্রা হরিণ বিচরণের এই ক্ষেত্রটি হতে পারে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের স্থান।
রোমাঞ্চকর যাত্রার শুরুতেই অনেকের জন্য আশাহত হওয়ার ঘটনা। সুন্দরবনের কাছেই গড়ে উঠেছে দুটি সিমেন্ট কারখানা। পশুর নদী দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশের পরের চিত্র এরকম। বনখোরদের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত ঝোপঝাড়। বড় গাছ চোখে পড়ে না, কেটে নেওয়া গাছের গুঁড়ি কোথাও কোথাও। মিঠা ও নোনা পানির বনে মাছ, কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও ডলফিনসহ জলজ প্রাণীও কমছে দিন দিন। তবে বেড়েছে মধু উৎপাদন।
এক মধু বিক্রেতা বলেন, এখানকার মধু ভালো কারণ এখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ফোটে। এখানে বিভিন্ন প্রকার মধু পাওয়া যায়। এই মধুর অনেক ঔষধি গুণ আছে।
৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের বনের যতো গভীরে যাওয়া যায় ততোই মুগ্ধতা ছড়ায় সুন্দরবন। যদিও বাঘ দেখা খুব দুরূহ ব্যাপার। হরিণের দেখা পেতেও ছোটাছুটি করতে হয় এক পয়েন্ট থেকে অন্য পয়েন্টে। আনন্দ, ভয় আর আশঙ্কা নিয়ে গহীন বনের ভেতর পথচলা অবশ্য রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা। তারপরও হরিণের বদলে শুধু পায়ের ছাপ দেখায় হতাশাও কম না।
বনের শেষ প্রান্ত হিরণ পয়েন্টে এসে বড় একটি চমক দেখতে পাওয়া যায়। দুই দশকের বেশি সময় ধরে এখানে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। বনবিভাগের কর্মীরা তা ব্যবহার করছেন প্রাত্যহিক কাজে।
বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারী মাঠ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, বিশ বছর ধরে গ্যাস উঠছে। কেউ কখনো পদক্ষেপ নেয়নি তবে আমরা কয়েক জন মিলে জায়গাটা পাকা করে পাইপের মুখে দিয়ে রান্না করে খাই।
যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বন দেখতে আসা পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি না। তবে বেশ কয়েকটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করেছে বন বিভাগ।
বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের (সুন্দরবন)ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর বলেন, দীর্ঘ দিন প্রায় ২০ বছর থেকে এখানে কোন আক্রমণ বা দুর্ঘটনা ঘটে নাই।
বনে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জলদস্যু দমনে কোস্টগার্ডের পাশাপাশি রয়েছে নৌ বাহিনীর টহল।
Source: channeli online