The wild frontier of animal welfare Earth Day 2021: Restore Our Earth Soil degradation: the problems and how to fix them How We Can Put a Halt to Biodiversity Loss Rhino numbers recover, but new threats emerge Govt afforests over 25,000 hectares of land in nearly three years How to stop discarded face masks from polluting the planet How plastics contribute to climate change Unplanned industrialisation killing the Sutang river ‘Covid-19 medical waste disposal neglected’

প্লাস্টিক দূষণ মায়ের গর্ভফুলেও


ঢাকা, ৪ জানুয়ারী, ২০২১: দিনে দিনে বড় হুমকি হয়ে উঠছে প্লাস্টিক দূষণ। সাগরতলে মাছের পেট থেকে শুরু করে পর্বতের ওপর পর্যন্ত সব জায়গায় পৌঁছে গেছে প্লাস্টিক। তবে এবার বিজ্ঞানীরা যা জানিয়েছেন, তা সত্যিকার অর্থেই অনেক বড় উদ্বেগের বিষয়। মায়ের গর্ভফুলেও পৌঁছে গেছে প্লাস্টিক। এমন ঘটনা এই প্রথম প্রত্যক্ষ করলেন বিজ্ঞানীরা।

ইতালিতে কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভফুলে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণিকা পেয়েছেন গবেষকেরা। গবেষণার অংশ হিসেবে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ওই নারীরা তাঁদের গর্ভফুল দান করেছিলেন। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিজ্ঞান সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিজ্ঞান, কারিগরি ও চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য ও বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ের এই সাময়িকী প্রকাশ করে।

গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, যেসব নারী গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা কোনো জটিলতা ছাড়াই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তাঁদের গর্ভফুলে পাওয়া প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা নবজাতক বা মায়ের শরীরে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না, তাও এখনো জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, মায়ের গর্ভফুলে প্লাস্টিক পাওয়ার অর্থ হতে পারে বড় উদ্বেগের বিষয়।

গবেষণাটি করেছেন রোমের ফাটেবেনেফ্রাটেলি হসপিটাল ও ইতালির পলিটেকনিকা ডেল মার্চ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। ফাটেবেনেফ্রাটেলি হসপিটাল মূলত নারী ও প্রসূতি স্বাস্থ্যের সেবা দিয়ে থাকে। গবেষকেরা বলেছেন, শরীরের ভেতর প্লাস্টিকের উপস্থিতি থাকলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা। কিন্তু ওই মায়েদের বা তাঁদের সন্তানদের শরীরে এমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গবেষকেরা আরও বলেছেন, ‘এটা অনেকটা সাইবর্গ শিশুর জন্মের মতো অবস্থা। বলা যেতে পারে, এই শিশুদের শরীরে কেবল মানব কোষ নেই। তাদের শরীরে জৈব ও অজৈব উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটেছে।’ সাইবর্গ মানব হলো এক ধরনের কাল্পনিক চরিত্র, যার শরীরে যান্ত্রিক উপকরণ সংযোজনের মাধ্যমে সক্ষমতা স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক বেশি হয়।

ফাটেবেনেফ্রাটেলি হসপিটালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান এবং গবেষণা নিবন্ধের মূল রচয়িতা অ্যান্টোনিও রাগুসা বলেন, যে মায়েদের গর্ভফুলে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণিকা পাওয়া গেছে, তাঁরা বিষয়টি জেনে হতভম্ব হয়ে গেছেন। নিজের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যখন প্রথমবারের মতো কোনো মায়ের গর্ভফুলে প্লাস্টিকের কণা আবিষ্কার করলাম, আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।’

গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, গর্ভফুলে যে প্লাস্টিক কণাগুলো পাওয়া গেছে, তার সবগুলোই রঙিন। এ ধরনের উপাদান রঞ্জক পদার্থ হিসেবে রং করার কাজে, অ্যাডহেসিভ, প্লাস্টার, নেইল পলিশ, পলিমার ও প্রসাধন সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহার হয়।

বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক দূষণের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে গবেষকেরা বলেছেন, বিগত ১০০ বছরে বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদন বেড়ে বছরে ৩২ কোটি টন হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই একবার ব্যবহার্য প্যাকেজিং প্লাস্টিক। তাঁরা বলছেন, প্লাস্টিকের কণা অন্য রাসায়নিকের বাহক হিসেবেও কাজ করতে পারে। মানব শরীরের ভেতর প্লাস্টিক কণাকে বহিরাগত উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়।

গবেষণা নিবন্ধে গবেষকেরা উপসংহার টেনেছেন, ‘মায়ের গর্ভফুল ভ্রূণের বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ভ্রূণের সঙ্গে বাইরের পৃথিবীর যোগাযোগের সূত্র হিসেবেও এটি কাজ করে। এমন একটি জায়গায় বাইরের সম্ভাব্য ক্ষতিকর (প্লাস্টিক) কণার উপস্থিতি অনেক বড় উদ্বেগের বিষয়।’

বিস্তারিত 

 

Posted by on Jan 4 2021. Filed under News at Now, No Plastic, No Toxic. You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0. You can leave a response or trackback to this entry

Leave a Reply

Hellod

sd544

Polls

Which Country is most Beautifull?

View Results

Loading ... Loading ...