বর্জ্য বিপর্যয়ের শঙ্কা চামড়া শিল্পনগরীতে
আসন্ন ঈদে প্রায় সোয়া কোটি পশু কোরবানি হবে। এই পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করা হবে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে। সেখানে দ্বিগুণের বেশি সক্ষমতা নিয়ে ১১৩ ট্যানারি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে প্রস্তুত। কিন্তু বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চামড়ার বর্জ্য পরিশোধন নিয়ে। বর্তমানে পশুর সীমিত চামড়ার বর্জ্য নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্যানারিগুলোকে। কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াজাত শুরু হলে অতিরিক্ত বর্জ্যে চামড়া শিল্পনগরী এক ভয়াবহ সঙ্কটে পড়বে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তা ও সিইটিপি (কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার) কর্মকর্তারা।
সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগরীতে ১৫৫ ট্যানারি প্লট বরাদ্দ পেলেও এখনো সব কারখানা চালু হয়নি। দু’টি ট্যানারি মামলার কারণে বন্ধ থাকলেও ৪০টি ট্যানারি নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি। চালু হয়েছে ১১৩টি ট্যানারি। গত বছরের এপ্রিল থেকে ঢাকার হাজারীবাগে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এর পর সাভারে উৎপাদন শুরু করলেও বেশির ভাগ ট্যানারি শুধু কারখানার ওয়েট ব্লু (পরিশোধনের প্রাথমিক পর্ব) অংশ চালু করেছে। চূড়ান্ত প্রক্রিয়াকরণ করছে অল্পসংখ্যক ট্যানারি। আর এসব ট্যানারিতে স্থাপন করা সিইটিপির চারটি মডিউলে প্রতিদিন ২৫ হাজার কিউবিক মিটার তরল বর্জ্য শোধন করার ক্ষমতা রয়েছে। এখন ঈদের আগেই প্রতিদিন ২৩ থেকে ২৫ হাজার কিউবিক মিটার বর্জ্য পরিশোধন করা হচ্ছে। গত ২৮ জুলাই প্রায় ২৬ হাজার কিউবিক মিটার ও ২৩ জুলাই ২৮ হাজার ৫৮০ কিউবিক মিটার বর্জ্য সিইটিপিতে এসেছে। ঈদের পর ট্যানারিগুলোতে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হলে সিইটিপি সক্ষমতার দেড়গুণ বেশি বর্জ্য আসবে। এই অতিরিক্ত বর্জ্য পরিশোধনে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন যে সময় হাতে আছে, তাতে দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়। ফলে শিল্পনগরী বর্জ্যরে স্তূপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন সিইটিপি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।