“লেড ইন নিউ এনামেল হাউজ হোল্ড পেইন্টস ইন বাংলাদশে,২০১৫” র্শীষক জাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ
পরিবেশ ও জনর্সাথে সকল প্রকার রং-এ সীসার ব্যবহার বন্ধ করা এবং এ ব্যাপারে সকলকে সচতেন হবার আহবান জানয়িছেনে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। তিনি বলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরবিশে ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হয়ে সীসা দূষণ রোধ করতে হবে। গত শনিবার, জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠতি “লেড ইন নিউ এনামেল হাউজ হোল্ড পেইন্টস ইন বাংলাদশে,২০১৫” র্শীষক জাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাল ডেভেলপমন্টে র্অগানাইজশেন-এসডো, আইপেন (IPEN) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU) এর যৌথ ভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মাণনীয় মন্ত্রী আরও বলেন বাংলাদেশের রঙে সীসার ব্যবহার বন্ধে নীতি ও আইন প্রণয়ন ও এর বিকল্প ব্যবহারকে উৎসাহতি করা এবং জনসচনেতার জন্য এসডোর বিভিন্ন র্কাযক্রমকে তিনি স্বাগত জানান। তিনি আরও বলেন জাতীয় র্পযায়ে সীসার উপর এইধরনের পরিপূর্ণ প্রতিবেদন সরকারের জন্য নীতি নির্ধারণে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখবে। এসডো সীসার উৎপাদন, আমদানি ও বাণিজ্যর উপর নিয়ন্ত্রণে সরকারকে যে খসড়া “গাইডলাইন” প্রদান করেছে তা তিনি উৎসাহিত করেন।
প্রকাশতি রিপোর্টেে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশে উৎপাদিত, আমদানিকৃত সকল রঙ-এ মাত্রাতিরিক্ত সীসা রয়েছে তবে কিছু বহুজাতিক ও দেশীয় কোম্পানির এনামেল পেইন্টে সীসার উপস্থিতি তুলনামূলক কম পাওয়া গেছে। বাংলাদশেে বিক্রিত ৮৫% রং-এ সীসার মাত্রা ৬০০ পিপিএম, কেবল মাত্র পাঁচটি ব্রান্ডের রঙ-এ সীসার মাত্রা ৯০ পিপিএম এর নীচে রয়েছে।
রিপোর্টে র মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখনে এসডোর সেক্রেটারী জেনারেল ড. শাহরিয়ার হোসেন । তিনি বলেন এসডো যৌথভাবে রঙ -এ সীসার উপস্থিতি নিয়ে ২০১০,২০১২,২০১৩ এবং ২০১৪ সালে চারটি পৃথক গবেষণা ও ল্যাবরেটরী পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে এসডো সীসামুক্ত রঙ উৎপাদনে বাংলাদেশে রঙ প্রস্ততকারক দেশী ও বিদেশী ছোট ও মাঝারী এবং বহুজাতীক কোম্পানির সাথে গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে সীসামুক্ত রঙ উৎপাদনে সম্মত করতে সক্ষম হয়েছে এবং এর ফলে ইতিমধ্যেই বেশকিছু বহুজাতিক এবং দেশীয় রঙ প্রস্তুুতকারক কোম্পানি সীসামুক্ত রঙ উৎপাদন বাজার জাতকরণ শুরু করেছে। যার ফলস্বরূপ ২০১৪ সালের গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী কিছু বহুজাতিক কোম্পানির এনামেল পেইন্টে সীসার উপস্থিতি তুলনামূলক কম পাওয়া গেছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। তিনি বলেন,”সীসার দূষণ রোধে বিশ্বব্যাপী রঙে সীসার ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে প্রচারণা এবং আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের কাজ চলছে। এরই ধারাবিকতায় এসডো ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এসডোর সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশ রং প্রস্তুুতকারক সমিতি (পেইন্টস ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন বি.পি.এম.এ ) এ ব্যাপারে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম শুরু করেছে এবং বাজারে বিক্রয়কৃত রঙে সীসার পরিমাণ ৫০ পিপিএম, এর মধ্যে রাখতে সমিতির সদস্যদের সম্মত করেছে। সীসাযুক্ত রঙ উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে এসডো ইতমিধ্যে একটি খসড়া নির্দে শিকা অনুলিপি প্রনয়ন করেছে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডঃ আবু জাফর মাহমুদ বলনে সীসাযুক্ত রং ব্যবহারে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ঝুকি বৃদ্ধি পয়েছে। তিনি বলেন শিশুরা সবচেয়ে বেশি সীসার বিষাক্ততার শিকার হয়।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদশে পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার এসোসয়িশেনরে মহাসচবি, মো. শামসুজ্জামান, এসডো এবং IPEN এর সহযোগী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন। বাংলাদশে পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার এসোসয়িশনে রঙ উৎপাদনে সীসার ব্যবহার র্বজনকে সর্ম্পূণ সর্মথন করে এবং তিনি রঙে সীসার মাত্রা ৫০ পিপিএম রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন ।
এসডোর নির্বাহী সিদ্দীকা সুলতানা, পরিচালক বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর, বিএসটিআই, এবং বিসিএসআইআর, শিক্ষাবিদ সহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
র্বতমানে সারা বিশ্বে সীসা দূষণ ও তার প্রতিরোধ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও প্রচারণা চলছে। এসডো এর জন্মলগ্ন থেকেই পরিবেশ দূষণরোধ ও সামাজিক কল্যাণের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এসডো সর্বদা পথিকৃত হিসেবে অবদান রেখে আসছে।
Collected: http://edoctornews.com/