বিপর্যস্ত হালদা রক্ষায় নতুন উদ্যোগ
বিশ্বের অন্যতম কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদী প্রাকৃতিক ও মানুষসৃষ্ট নানা কারণে পড়েছে হুমকির মুখে। বিশেষজ্ঞের তাগিদ, ওই নদী রক্ষায় সরকারকে নিতে হবে জরুরি উদ্যোগ। ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের আলোচিত এই হালদা নদী রক্ষায় সরকার ২০০৭ সালে সাত্তার ঘাট হতে মদুনা ঘাট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এবং ২০১০ সালে ফটিকছড়ির নাজিরহাট ব্রিজ থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত ৪০কিলোমিটার দীর্ঘ অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। একই সঙ্গে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র নামে একটি পুনরুদ্ধার প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়।
এসবের পরেও হালদা নদীর মা মাছ নিধন, ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন, শিল্পবর্জ্যের দূষণ বন্ধ হয়নি। উপরন্তু উজানে রাবার ড্যাম নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার করায় সংকটে পড়েছে এই নদীর অস্তিত্ত্ব।
হালদা নদীর মাছের ডিম সংগ্রহকারী একজন বলেন, দূষণ, রাবার ড্যাম, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারলে হালদায় প্রচুর ডিম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
বিশেষজ্ঞের দাবি হালদা দূষণ ও বালি উত্তোলন বন্ধ এবং হালদার মুখে নতুন জেগে উঠা চর অপসারণের ব্যবস্থা না নিলে বাঁচানো যাবে না বিশ্বের আলোচিত এ নদীটি।
হালদা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, চর যদি জাগে তবে হালদার পুরো মুখটাই বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি তলানিগুলো উঠিয়ে নেয়ার ফলে হালদার ইকো সিস্টেম ব্যাহত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী হালদা নদীর সমস্যাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। এ নদীকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যে হালদাকে রক্ষা করতে হলে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সেটি বৃদ্ধি এবং এখানে পরিবেশ যে বিপর্যয়ের সম্মুখিন সেটিকে রক্ষা করার জন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছি।
সংবাদ উৎস: চ্যানেল আই অনলাইন