পশুপক্ষীর জেলখানায়
কী আর করা যাবে, সবই কপাল! গ্রামের টাটকা বাতাস রুজিতে নাই। তাই ফাটকাবাজির শহরে আটকা পড়ে আছি। একের পর এক শুক্কুরবার কেটে যাচ্ছে। একটার পর একটা ডে অফ টুক করে চলে যাচ্ছে। টের পাচ্ছি না। খালি কাজ! আর অ-কাজ!
অবলা দুই শিশুপুত্র আটক ঘরে হাঁসফাঁস করে। প্রায়ই ব্যাগ গুছিয়ে হাঁটা দিতে চায়। সেদিন শুক্রবারে ছোটটা বলল, ‘তলো! তলো!’ মানে ‘চলো, বাইরে ঘুরিয়ে আনো!’ মানে, ঘর নামের এই জেলখানা তার ভালো লাগে না। বললাম, ওকে, ডান! তলো!
‘কোথায় বেড়াতে যাবে?’
জেলখানায়।
‘মানে!’
পশুপক্ষীর জেলখানায়। ভদ্র ভাষায় যাকে বলে চিড়িয়াখানা।
দুই ছেলের মা এই প্রস্তাবে বিরাট খুশি। সে এক টিকিটে দুই কাজ সারার তালে আছে। লায়ন মানে সিংহ, টাইগার মানে বাঘ, পিকক মানে ময়ূর—এসব থিউরিটিক্যাল পড়াশোনার একটা প্র্যাকটিক্যাল কোর্স সে দুই ছেলেকে করানোর মোক্ষম সুযোগ পেয়ে গেছে। বিনোদনের সঙ্গে ব্যবহারিক শিক্ষার ক্লাসের মারাত্মক মেলবন্ধন। অধুনালুপ্ত গুলিস্তান হলের ‘এক টিকিটে দুই ছবি’ আরকি!