তিনগুণ শব্দদূষণের শিকার ঢাকাবাসী
ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে চলাচলকারী প্রায় সব ধরনের যানবাহন চালকরা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজান। এ ব্যাপারে তারা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করেন না। ট্রাফিক জ্যামে গাড়ি স্থির দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা হর্ন বাজিয়ে যান। আবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাতদিন নির্মাণ কাজের জন্য সৃষ্ট বাড়তি শব্দে আশপাশের মানুষের সমস্যা হলেও স্থাপনাটির মালিক বিষয়টি গায়েই লাগান না। এর বাইরে সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- গায়ে হলুদ, জন্মদিনের অনুষ্ঠান বা কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মাইক ও বিশাল সাউন্ড সিস্টেমের উচ্চশব্দে মানুষের কাজে সমস্যা হলেও আয়োজকরা এ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না। আওয়াজ কমানোর অনুরোধ করলে উল্টো তেড়ে আসেন। মেগাসিটি ঢাকার অধিকাংশ এলাকারই এমন চিত্র হররোজ দেখতে পাওয়া যায়। পরিবেশবিদরা বলছেন, বর্তমানে ঢাকার পরিবেশগত অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে শব্দদূষণ। এর ভয়াবহতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শব্দদূষণের প্রভাবে সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নগরবাসী। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে ছাত্রছাত্রী, শিশু, হাসপাতালের রোগী, ট্রাফিক পুলিশ, পথচারী এবং গাড়ির চালকরা। পরিবেশ অধিদফতরের আটটি বিভাগীয় শহরের শব্দের মাত্রা পরিমাপ বিষয়ক জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভুক্তভোগীদের অনেকেই শব্দদূষণের কারণে কানের অসুস্থতায় ভুগছেন। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। আর ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে বছরব্যাপী এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জরিপটি ৯০ জনের ওপর পরিচালিত হয়। এ জন্য ঢাকার নির্ধারিত স্থানসমূহে শব্দের উৎস পর্যবেক্ষণ ও হর্ন গণনা করা হয়। এতে বলা হয় শহরের শব্দদূষণের উৎস হিসেবে যানবাহন এবং হর্ন প্রধানত দায়ী। এ ছাড়া নির্মাণ কাজ, সামাজিক অনুষ্ঠান, মাইকিং, জেনারেটর এবং কল-কারখানার উচ্চশব্দকে শব্দদূষণের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Posted by admin
on Nov 8 2018. Filed under Bangla Page.
You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0.
You can leave a response or trackback to this entry